আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য ভয়ংকর সন্ত্রাসী, মটর সাইকেল ছিনতাইয়ের সিন্ডিকেট ও কুখ্যাত ডাকাত নাজমুল আলম প্রকাশ আলম ডাকাতকে অবশেষে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গত বুধবার গভীর রাতে খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব ধেচুয়াপালং সিকদার পাড়া পাহাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে রামু থানার পুলিশ। এসময় ছিনতাই হওয়া দু’টি মটর সাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারের সংবাদ শুনে এলাকার বাসীর মাঝে স্বস্থির নিশ্বাস এসেছে।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী রামু থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক বজলুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত আলম একজন পেশাদার দুর্ধর্ষ অপরাধী। তিনি মটর সাইকেল চুরি সিন্ডিকেট চক্রের অন্যতম সদস্য। ভয়ংকর সন্ত্রাসী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ মূখ খুলতে চাচ্ছে না। এলাকায় বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চুরি ডাকাতি ও সন্ত্রাসী ঘটনা উদঘাটনের জন্য তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, উখিয়ার পাশ্ববর্তী খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব ধেচুয়াপালং সিকদার পাড়া গ্রামের নুরুল কবিরের ছেলে নাজমুল আলম প্রকাশ ডাকাত আলম একজন পেশাদার সন্ত্রাসী। তার নেতৃত্বে একটি বিরাট বাহিনী রয়েছে। এ সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকার সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। প্রতি রাত্রেই মটর সাইকেল চুরি সহ ডাকাতি ছিনতাই সংগঠিত হচ্ছে। এসব মটর সাইকেল চুরি ও ছিনতাইয়ের প্রধান হুতা হচ্ছে আলম ডাকাত।
এদিকে খুনিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরীর বাড়ীর গেইটের গ্রীল কেঁটে গ্যারেজ হতে ১৫০ সিসির একটি পালচার মটর সাইকেল গত ১২ ফেব্র“য়ারী গভীর রাতে নিয়ে যায়। এছাড়াও গত ২ ফেব্র“য়ারী বাইন্যা দোকান স্টেশনের আনোয়ার কম্পিউটার মোবাইল সর্পের দোকানে দু:সাহসিক চুরি সংগঠিত করে কম্পিউটার সেট সহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মৃত হাজী রমিজ আহমদ সিকদারের পুত্র আওয়ামীলীগ নেতা জহির উদ্দিন চৌধুরী বাদী হয়ে আলম ডাকাতকে প্রধান আসামী করে রামু থানায় এজাহার দায়ের করে। অনেকে জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত আলমের বিরুদ্ধে রামু, উখিয়া ও চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।
এদিকে রামু থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক বজলুর রহমান, এসআই সুমনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় গত বুধবার গভীর রাতে পূর্ব ধেচুয়াপালং পাহাড়ী এলাকায় বোনের বাড়ী ঘেরাও করে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও আন্ত:ডাকাত দলের সদস্য আলমকে গ্রেফতার করে। অভিযান টের পেয়ে অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় জনগণ জানান, বোনের বাড়ীতে বসে সন্ত্রাসী আলমের নেতৃত্বে ডাকাত বাহিনীর সদস্যরা অপরাধ সংগঠিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। উপ-পুলিশ পরিদর্শক বজলুর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দারিয়াদীঘি বড় ঢেবা এলাকায় সন্ত্রাসী আলমের শ্বশুর মোহাম্মদ বাড়ী হতে এবং সিরাজের ভাড়াটিয়া বাসা হতে দু’টি চোরাই মটর সাইকেল জবদ্ধ করা হয়েছে।
রামু থানার ডিউটি অফিসার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আলমকে গ্রেফতারের কথা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মটর সাইকেল ছিনতাই, চুরিসহ বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত ডাকাতির ঘটনা উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে রিমান্ডে আনা হবে।
পাঠকের মতামত: